নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র ভারত বর্ষ, প্রতিবছর ভারত সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রের বাছাইকৃত সমাজের অনবদ্য ভূমিকা পালনকারী, জনপ্রতিনিধি, কিংবা রাস্ট্রের সামাজিক কাজে সফলতাকে বিবেচনায় রেখে সমাজের অবদান রাখা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে অল ইন্ডিয়া মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সাইন্স টেকনোলজির উদ্যোগে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। প্রতিবছর দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রের ক্যাটাগরী ভিত্তিক অবদানের জন্য নির্বাচিতদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।
এরই অংশহিসেবে করোনাকালীন সময়ে বিপদের মুর্হুতে জনগনের পাশে থেকে সহযোগিতার পাশাপাশি সেবামুলক কাজে নিয়োজিত থাকায় চলতি ২০২২ সালে ‘মানবিক জনপ্রতিনিধি ক্যাটাগরীতে’ বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ওপার বাংলার মহাত্মা গান্ধী সম্মাননায় ভুষিত হয়েছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভপতি আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী।
প্রসঙ্গত: গত ২২ জুলাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল টুর্নামেন্টের বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে কক্সবাজার জেলা ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী ভারত যান। বিমানবন্দরে পৌঁছালে ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদি সহ বাংলাদেশে সকল অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান।
এরপর শনিবার ২৩ জুলাই সকাল দশটায় ভারতের ওপার বাংলা খ্যাত কলকাতা ধমধম মুন্সি পালীটি এসি কলকাতা অডিটোরিয়ামে, অল ইন্ডিয়া মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সাইন্স টেকনোলজি আয়োজিত মহাত্মা গান্ধী সম্মাননা উপাধিপ্রাপ্তদের ক্রেস্ট বিতরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি টিমের পক্ষে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী। তিনি বলেন, এপার বাংলার মহাত্মা গান্ধী, ওপার বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমানের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আমি ছোটকাল থেকে মহাত্মা গান্ধী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়েছি। এই দুই মহানায়ক আমৃত্যু দেশ এবং জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আজকে মহান এইদিনে, মহাত্মা গান্ধী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি।
এসময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ও পদ্মা সেতু নিয়ে দীর্ঘক্ষন বক্তব্য রাখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেণ বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। এসময় আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদীর হাতে অল ইন্ডিয়া মহাত্মা গান্ধীর পুরস্কার তুলে দেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের প্রতিনিধি সহ একাধিক রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ও আয়োজকরা।
পাঠকের মতামত: